বগুড়ার নন্দীগ্রামে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আসামি হাফেজ রুহুল কুদ্দুসকে (৫৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১১ জুলাই) রাতে নওগাঁ সদর থানার হাপুনিয়া দিঘীরপার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রুহুল কুদ্দুস উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী কোরআন শেখার জন্য স্কুলে যাওয়ার আগে এলাকার অন্যান্য শিশুদের সাথে হাফেজ রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে আরবি পড়তে যেত। এ অবস্থায় একদিন হাফেজের বাড়িতে তার পরিবারের লোকজন না থাকায় লম্পট হাফেজ সবাইকে ছুটি দিয়ে ওই শিশুটিকে পড়া ধরবে বলে বসতে বলে। অন্য শিশুরা চলে যাওয়ার পর হাফেজ তাকে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখে কাপড় চাপা দেয় এবং ধর্ষণের কথা বাহিরে কাউকে বলতে নিষেধ করে সে। এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় হাফেজ রুহুল কুদ্দুস। ওই ভয়ে শিশুটি পরিবারের কাউকে বিষয়টি জানায়নি।
সম্প্রতি ওই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পরে। তখন তার বাবা-মা গত ৪ জুলাই তাকে উপজেলা সদরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে। ওই রির্পোটে শিশুটিকে তিন মাসের গর্ভবতী বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর গত ৮ জুলাই ধর্ষণের বিষয়টি পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে আপোস-মীমাংসা করার চেষ্টা করে স্থানীয় মাতব্বররা। শিশুটির বাবা তাতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি পলাতক ছিল। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁ জেলা সদরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।