সাভারে স্কুলছাত্রী নীলা রায় হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান মিজানকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান নীলাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি-না, সে বিষয়ে মুখ খোলেনি সে। শুক্রবার রাতে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নির্মল কুমার দাস জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা মিজান স্বীকার করেছে। ঘটনার নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল বাশার জানান, মিজানকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে নীলা হত্যায় ব্যবহূত ছুরি ও হত্যাকাণ্ডের দিন পরনে থাকা রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর মিজান পুলিশকে জানায়, সে একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে নিহতের ভাই অলক রায়ের বক্তব্য- গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বোনের সঙ্গে রিকশা নিয়ে তারা বাসায় ফিরছিলেন। পথে মিজানুর রহমান ও তার কয়েকজন সহযোগী রিকশার গতিরোধ করে। এ সময় জোর করে নীলাকে রিকশা থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে মিজানের বাবা-মাকে দু'দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, মিজান মা-বাবার অবাধ্য ছিল। তাকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না তারা। কিছু বখাটে যুবকের সঙ্গে মিশে তাদের ছেলের আজ এই পরিণতি।