নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তানজিমা নামে এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত মফিজুল ইসলামকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে মনোহরদী পৌর মেয়রের সহায়তায় গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আহত তানজিমা মনোহরদী উপজেলার নলুয়া গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে এবং অর্জুনচর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তানজিমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল সরাইকান্দী গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে মফিজুল ইসলাম। তবে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল সে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় সরাইকান্দী গ্রামের নীলু মাঝির কলাবাগান সংলগ্ন এলাকায় তানজিমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মফিজুল। পরে গুরুতর আহত তানজিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে তৎপর হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মফিজুল ইসলামকে গ্রেফতারে সন্ধানদাতার জন্য পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার সাইফুল্লা আল মামুন। এরই মধ্যে বখাটের অবস্থানের সংবাদ পান মনোহরদী পৌরসভার মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন। তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানালে পৌর মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে রাত ১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বারতোপা গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে সেখানে একটি বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা মফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
মনোহরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামন বলেন, কুপিয়ে আহতের ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা তারা মিয়া বুধবার সন্ধ্যায় মামলা করেন। রাতেই অভিযুক্ত মফিজুলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।