কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মমিন হোসেন (৫২) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ জুলাই) ভুক্তভোগী ছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে মামলা করলে উলিপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার মমিন হোসেন উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের উত্তর দলদলিয়া করতোয়ার পাড় গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক। সে দলদলিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক। সম্পর্কে সে ভুক্তভোগী ছাত্রীর দাদা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, করতোয়ার পাড় গ্রামের প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীর (৬) বাবা ঢাকায় থাকে। ওই শিক্ষার্থীর মানসিক প্রতিবন্ধী মা ও ছোট বোনসহ বাড়িতে থাকে। ঘটনার দিন গত ১০ জুলাই সন্ধ্যার দিকে পালিত কবুতর বাড়িতে দেখতে না পেয়ে মা ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে খুঁজতে যান। এ সময় ওই শিশু শিক্ষার্থী প্রতিবেশী দাদা মমিন হোসেনের বাড়িতে কবুতর খুঁজতে যায়। এ সময় বাড়িতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কেউ না থাকার সুযোগে মমিন ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
শিশুটি তখন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে উদ্ধারকারীদের কাঁদতে কাঁদতে ওই শিশু শিক্ষার্থী ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর দাদা বাদী হয়ে সোমবার উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মমিন হোসেনকে গ্রেফতার করে।
দলদলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্ল্যাহ সরদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মমিন হোসেন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক। তার এ ধরনের অপকর্মে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ঘটনা জানার পর পরই ওই ওয়ার্ডের সভাপতি-সম্পাদককে তাকে (মমিন) বহিষ্কারের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উলিপুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ধর্ষণ চেষ্টায় গ্রেফতার মমিনকে সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
