পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের পর বিবস্ত্র অবস্থায় টয়লেটে রেখে বস্তা দিয়ে ঢেকে পালিয়ে যায় ধর্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের সীতাপাড়া এলাকায়। ধর্ষকের নাম রুবেল হোসেন (২২)। বাড়ি ওই ইউনিয়নের হেংগাডোবা এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় রবিবার তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে রুবেলকে আসামি করে মামলা করে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে রুবেল। এদিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রুবেলের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীকে পাশের গ্রামের রুবেল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি স্কুলছাত্রী তার বাবা-মাকে জানালে তারা রুবেলের পরিবারকেও জানায়। এতে রুবেল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গত শনিবার মধ্য রাতে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাইরে বের হলে পেছনে তার মুখ চেপে একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যায় রুবেল। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে তার বাড়ির টয়লেটে বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে তার ওপর খালি বস্তা ফেলে ঢাকা দিয়ে চলে যায় রুবেল।
এদিকে ওই কিশোরীকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। পরে বাঁশঝাড়ে রুবেলের জুতা, আন্ডারওয়ার এবং ওই কিশোরীর জামা খুঁজে পান তারা। কিন্তু কিশোরীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন সকালে পরিবারের লোকজন টয়লেটে গিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় খুঁজে পায় তাকে। পরে তাকে পঞ্চগড় আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত। ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।