স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ৩ জনের স্বীকারোক্তি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি |

নারায়ণগঞ্জে নৌকায় ঘুরতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর জিসা মনি (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার পর লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে তিন ধর্ষক। রোববার ওই ঘটনায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আবদুলল্গাহ, রাকিব ও খলিল মাঝি নামের তিন ধর্ষক।

নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে তিন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ আগস্ট ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটলেও ওই ঘটনায় নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন ৬ আগস্ট সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন। ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেখানো মতো নদীর নির্দিষ্ট স্থানে গিয়েও লাশের কোনো হদিস মেলেনি। পুলিশের ধারণা, বর্তমানে নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় লাশ ভেসে গেছে। গত শনিবার বিভিন্ন স্থান থেকে ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন আবদুলল্গাহ ফোন করে ডেকে এনে জিসাকে নিয়ে বন্ধু রাকিবের ইজিবাইকে ঘোরাঘুরি করে। সন্ধ্যায় নগরের ৫নং ঘাট থেকে তারা তিনজন খলিল মাঝির নৌকা ভাড়া করে নদীতে ঘুরতে যায়। কিছুক্ষণ ঘোরার পর আবদুলল্গাহ প্রথমে জিসাকে ধর্ষণ করে। পরে রাকিব ও সর্বশেষ খলিল মাঝিও জিসাকে ধর্ষণ করে। জিসা এ ঘটনা তার মাকে বলে দেবে বললে আবদুলল্গাহ ও খলিল মাঝি জিসাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দেয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005018949508667