মাদারীপুর সদরের চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের এক ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ওই ছাত্রীর মা রুবি আক্তার বাদি হয়ে প্রধান শিক্ষক মো. নুর হোসেনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে স্কুলছাত্রী সাথীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন : শিক্ষকের নির্যাতনে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ছাত্রীর মা রুবি আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষকের কারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো: কামরুল হাসান বলেন, স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে প্রধান শিক্ষককে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উল্লেখ্য, চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী সাথী আক্তার শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে বিদ্যালয়ে আসার পর টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের কাছে অন্য এক ছাত্রী তাকে গালি দিয়েছে বলে বিচার দিলে, প্রধান শিক্ষক দুইজনকেই ডেকে এনে সবার সামনে শাসন করে এবং স্কেল দিয়ে মারধর করে। এতে সাথী খুব লজ্জা পেয়ে স্থানীয় এক দোকান থেকে ঘাস মারার একটি ঔষধ কিনে বাড়ি নিয়ে সন্ধ্যায় সেটা পান করে। ঔষধ খাওয়ার পর সাথী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে সাথী মারা যায়। সাথীর মৃত্যুর খবর এলাকায় ও স্কুলে পৌঁছালে স্কুলের সহপাঠী এবং এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।