নড়াইলে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর নগ্ন ছবি ধারণের অভিযোগে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের এক চালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা।
নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে দেখতে এসে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ৪টার দিকে ওই শিক্ষার্থী টয়লেটে গেলে জোর করে আসামীরা তার নগ্ন ছবি ধারণ করেন।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হচ্ছেন- নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী গ্রামের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক সেকেন্দার আলী আকাশ (২২), সাব্বির হোসেন (২৫), হুসাইন (১৯) ও ভওয়াখালীর দেবদারতলার হোটেল কর্মচারী ইনামুল (১৯), হাসপাতালের সুইপার হরেনের ছেলে বাসু (৩০), সদর থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইয়ামিন সিকদার (২১) ও হোসেনপুর গ্রামের আজিজুর রহমান (২২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে এসে শুক্রবার হাসপাতালে অবস্থান করছিল অষ্টম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী। ওইদিন বিকেলে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের টয়লেটে যায় মেয়েটি। এ সময় ইয়ামিন সিকদার, বাসু ও আকাশ টয়লেটের সামনেই ছিলেন। পরবর্তীতে টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য মেয়েটি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত তিনজন তাকে বাধা দেন। মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে টয়লেটে ভেতরে আটকে দরজা বন্ধ করে দেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইলে নগ্ন ছবি তুলে মেয়েটির কাছে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন তারা।
এ কাজে অন্য আসামিরা সহযোগিতা করেন। এক পর্যায়ে টয়লেটের কাছে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা মেয়েটিকে নগ্ন অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।