কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে একটি স্কুলের কমনরুমে এক ছাত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপজেলার কদমচাল বাজার এলাকার ‘আলোর দিশারী ডিজিটাল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ঐশী আক্তার (১৪) গত সোমবার দুপুরে স্কুলের কমনরুমের ধরনার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওই সময় স্কুলে ক্লাস চলছিল। ঐশী কদমচালের পাশের গ্রাম খয়েরপুরের মজিবুর রহমানের মেয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমনরুমসহ স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। ক্যামেরাগুলোও সচল। অথচ ঘটনার দিন বিদ্যালয়ের ক্যামেরা রহস্যজনক কারণে বন্ধ ছিল। সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ থাকার কারণ সম্পর্কে স্কুল কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর কাছে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারছে না। যে কারণে আত্মহননের ঘটনাটি নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। নিহত স্কুলছাত্রীর পরিবারও বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না।
মেয়েটির পরিবার, পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার অন্যান্য দিনের মতোই ঐশী স্কুলে আসে। টিফিনের পর সহপাঠী ছাত্রীরা কমনরুমে গিয়ে ঐশীকে ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। পরে এলাকার লোকজন ছুটে এসে পরিবারের সদস্য ও পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।
ঐশীর বাবা মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না।’ এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি, কান্নায় ভেঙে পড়েন।
অষ্টগ্রাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম মোল্লা জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।