বারান্দায় আসবাব তৈরিতে মগ্ন তিনজন কাঠমিস্ত্রি। একটি কক্ষে কাঠের আসবাব সাজানো। পাশের কক্ষেই রাখা আছে রড, সিমেন্ট। আরো দুটি কক্ষের মেঝেতে রাখা হয়েছে ধান। দেখে ধন্দে পড়তে হয় এটি স্কুল, না বাসা? এ অবস্থা নাটোরের বাগাতিপাড়ার বড়পুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলের সহকারী শিক্ষক আনোয়ারা পারভিন ওই কক্ষগুলো দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসী জানায়, আনোয়ারার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। দুই মাস ধরে স্কুলের চারটি কক্ষ ব্যবহার করছেন তিনি। এর মধ্যে দুটি কক্ষে চলছে ধান শুকানোর কাজ। একটি কক্ষে রাখা হয়েছে খাট, সোফাসেট, ওয়ার্ডরোবসহ কাঠের আরো আসবাব। আরেকটি কক্ষে রাখা হয়েছে পাইপ, রড, সিমেন্টসহ প্রয়োজনীয় আরো অনেক কিছু।
কক্ষ চারটি ব্যবহারের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ারা বলেন, তাঁর বাসায় কাজ চলছে। তাই তিনি স্কুল পরিচালনা কমিটিকে জানিয়ে কক্ষগুলো ব্যবহার করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত কোনো কাজ স্কুলে করতে পারবেন না। যদি কোনো শিক্ষক এমন কিছু করে থাকেন তাহলে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বলেন, স্কুলে কেন আসবাব রাখা হয়েছে সে বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে।