যশোরের মণিরামপুরে হাজরাকাটি আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন না করায় ওই মাদরাসার সুপারকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার এ শোকজ প্রদান করেন। তিন কর্ম দিবসের মধ্যে এ শোকজের জবাব না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলায় ১৫২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে রয়েছে ১০৩টি এবং দাখিল মাদরাসা রয়েছে ৪৯টি। এর মধ্যে শনিবার ১৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ জন করে স্টুডেন্টস কেবিনেট নেতা নির্বাচিত হয়। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নির্বাচনের দিন ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে উপজেলার হাজরাকাটি আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসায় নির্বাচনের আয়োজন না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলাফল শিট তৈরি করেন। বিষয়টি জানাজানি হবার পর এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে প্রশাসনের টনক নড়ে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘শনিবার আহম্মাদিয়া দাখিল মাদরাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন না হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। শনিবার দিনভর নির্বাচন কাজে ব্যস্ত থাকায় পরবর্তী সময়ে খোঁজ-খবর নিয়ে এর সঠিক সত্যতা যাচাই-বাছাই করা হয়। নির্বাচন না হওয়ার সত্যতা পাওয়ায় মাদরাসা সুপার আবদুস সামাদকে রোববার শোকজ করে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে শোকজ প্রাপ্তির সত্যতা জানতে মাদরাসা সুপার আবদুস সাদামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
এছাড়া সুপার আবদুস সামাদের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মাদরাসার ৬ষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির ১৩ জন শিক্ষার্থীকে উপজেলার আজহারুল ইসলাম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষার্থী হিসেবে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সুপারকে শোকজ করেন।