হাবিপ্রবিতে শিবিরকর্মীকে শিক্ষক পদে নিয়োগের অভিযোগ

দিনাজপুর প্রতিনিধি |

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এই নিয়োগে ভালো ফল করার পরও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে নিয়োগ না দিয়ে রাজাকার ও জামায়াত পরিবারের সদস্য শিবিরকর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে এটিসহ আরও নানা অভিযোগ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মুহিউদ্দিন নুর জামায়াত পরিবারের সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়েও সে শিবিরের রাজনীতি করেছে এবং বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করেছে।'

এ সময় প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায়, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশীদ, অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান, অধ্যাপক ড. এটিএম সফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ, সহকারী অধ্যাপক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

লিখিত বক্তব্যে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশীদ বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিয়োগ বোর্ডে সংশ্নিষ্ট বিভাগের অধ্যাপকদের না রেখে উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ ও পরিচিতদের রাখা হয়েছে। ফলে অনেক মেধাবী, যারা প্রথম শ্রেণিতে প্রথম এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পাওয়া, তাদের বঞ্চিত করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীদের নেওয়া হয়েছে। উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে মর্মে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য এবং বিভাগের চেয়ারম্যান লিখিতভাবে দ্বিমত পোষণ করেছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অতিরিক্ত সনদপত্রের ক্ষেত্রে নম্বর বরাদ্দ থাকলেও প্রকাশনার বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি। কীটতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। 

পরে সকাল সাড়ে ১১টায় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মমিন সরকারের স্ত্রী মনিজা বেগম। তিনি বলেন, আমার ছেলে আল মামুন সরকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করার পরও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফজলুল হক শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে। যাদের নিয়োগ হয়েছে পুলিশ ভেরিফিকেশনে জামায়াত-শিবিরের সংশ্নিষ্টতা কিংবা হত্যা মামলার আসামি এমনটি পাওয়া যায়নি। উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেমের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052897930145264