আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে সব ধরনের কোচিং বন্ধ থাকবে। আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার আইনশৃংখলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাবলিক পরীক্ষার সময় বিভিন্ন ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ অমান্য করে সেগুলো নানাভাবে খোলা রাখার চেষ্টা করে। এ কারণে বাধ্য হয়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
১ এপ্রিল থেকেই সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এবার পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী।
৮ টি সাধারণ বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা , ঢাকা বোর্ডে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬২২ জন , রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৪ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৯৫ হাজার ২০২, যশোর বোর্ডে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮০৯ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯৯ হাজার ৬৬৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ৬৪ হাজার ৯১৯, সিলেট বোর্ডে ৭৬ হাজার ৬৯৮, দিনাজপুর বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৯ জন।
এছাড়া মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ৭৮ হাজার ৪৫১ জন, কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ , ডিআইবিএসে ৪৩ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবারও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে গতানুগতিক কাগজের খামের বদলে অধিকতর নিরাপত্তাবিশিষ্ট অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল খাম ব্যবহার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণে তদারক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভেন্যু কেন্দ্রের জন্য প্রশ্নপত্রের আলাদা প্যাকেট ও ট্রাংক তৈরি করা হয়েছে, যা ট্রেজারি থেকে সরাসরি ভেন্যুতে পাঠানো হবে।
পরীক্ষার্থীদের আগের মতোই ৩০ মিনিট আগে আবশ্যিকভাবে কেন্দ্রের আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে আসতে দেরি হলে রেজিস্ট্রারে তার নাম, ক্রমিক নম্বর ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং সেটি প্রতিদিন কেন্দ্রসচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবেন। কেন্দ্রে শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কেন্দ্রসচিব) সাধারণ মানের একটি ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিকস যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না।
গত পরীক্ষার মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর মাত্র ২৫ মিনিট আগে কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, সেটা জানানো হবে। পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র বণ্টনে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষে আসন বিন্যাস করে প্রশ্নপত্র বিতরণ করতে হবে।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।