১ হাজার ১৯৯ শিক্ষক পদে নিয়োগে আবেদন ২২ জানুয়ারির মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

৬০৪টি স্কুল ও মাদরাসায় ১ হাজার ১৯৯টি শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত ৮ জানুয়ারি থেকে এসব পদে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। ২২ জানুয়ারির মধ্যে এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন করতে হবে প্রার্থীদের। ২০ জানুয়ারি থেকে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের ১০টি ট্রেডে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এনটিআরসিএ অফিস থেকে সরাসরি সংগ্রহ করে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন করতে পারবেন। গত ৭ জানুয়ারি ৬০৪টি স্কুল ও মাদরাসায় ১ হাজার ১৯৯টি শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, প্রার্থীরা ৮ জানুয়ারি থেকে আবেদন করতে পারবেন। আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। http://ngi.teletalk.com.bd অথবা www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হবে। অনলাইনে সঠিকভাবে ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। ফরম সাবমিটের পর প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে টাকা জমা দেয়াসহ পরবর্তী নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হবে। আবেদনের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০ টাকা।  ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ৩৫ বছরের কম, তারা এসব পদে নিয়োগের আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: ১ হাজার ১৯৯ শিক্ষক পদে নিয়োগে নতুন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

জানা গেছে, ১০টি বিষয়ে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণরা এসব পদে নিয়োগের আবেদন করতে পারবে। ফুড প্রসেসিং, সিভিল কনস্ট্রাকশন, জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস, জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্স ওয়ার্কস, ড্রেস মেকিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, জেনারেল মেকানিক্স, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং এবং ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফ্যব্রিকেশন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সব পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আগামী ১৯ জানুয়ারির (রোববার) মধ্যে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ তৈরি করা হবে। এদিন থেকেই জেলা শিক্ষা অফিসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ পাঠানো শুরু হবে।  বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগে আবেদনে আগ্রহী প্রার্থীরা ২০ জানুয়ারি থেকে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে এসে সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন। সনদ সংগ্রহ করে স্কুল পর্যায়-২ এর ট্রেডগুলোতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন। এ বিষয়টি জানিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে এনটিআরসিএ। 

জানা গেছে, সাধারণ ধারার স্কুলগুলোতেও চালু হচ্ছে বৃত্তিমূলক বা ভোকেশনাল কোর্স। সাধারণ শিক্ষায় বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর অংশ হিসেবে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। জনবল কাঠামো সংশোধন করে এসব পদের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে এসব পদে নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ৬০৪টি স্কুল ও মাদরাসায় ১ হাজার ১৯৯টি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ছয় শতাধিক স্কুলে ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর জনবল কাঠামো সংশোধন করে নতুন ৪টি পদ অর্ন্তভুক্ত করা হবে। আর জনবল কাঠামো সংশোধন করে এ স্কুলগুলোতে ২জন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ও ২জন ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট নিয়োগে গত ৩ নভেম্বর সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সে প্রেক্ষিতে, গত ১ ডিসেম্বর স্কুলগুলোতে ২জন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ও ২জন ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, সাধারণ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হবে ভোকেশনাল কোর্স।  প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত ট্রেডগুলোর মধ্যে পছন্দ অনুসারে দুটি ট্রেড চালু করতে হবে। বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে, কর্মমূখী শিক্ষাকে আরও জনপ্রিয় করতে এবং বেকারত্ব কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিটি সাধারণ স্কুলে দুটি করে ভোকেশনাল ট্রেড অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আর ইতোমধ্যে ভোকেশনাল কোর্স চালুর কাজ শুরু করেছে সরকার।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056028366088867