ঢাকার বাইরে ১০ জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচটি জেলায়। মে মাসের প্রথম দিন পর্যন্ত মাত্র নয়জন রোগী ছিল নোয়াখালীতে। মাস শেষে সেখানে মোট শনাক্ত ৬২৬ জন। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা এবং ফেনীতেও ক্লাস্টার সংক্রমণ হচ্ছে। ঢাকা বিভাগের মুন্সীগঞ্জ ও ফরিদপুরে এবং উত্তরাঞ্চলের রংপুরে সংক্রমণ বেড়েছে। তবে শতাংশ বিবেচনায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি সিলেট এবং বগুড়ায়। অন্যদিকে, রাজধানীর দুই সিটিতে গতি কিছুটা কমে এসেছে।
নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরেও শুরুর দিকে ভীতিজাগানিয়া পরিস্থিতি থাকলেও এখন এ দুই জেলায় সংক্রমণের গতি ধীর। তবে বিস্ময়করভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে নরসিংদী। সর্বশেষ দুই সপ্তাহে এ জেলায় রোগী শনাক্ত হয়েছে মাত্র তিনজন। দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। সে হিসাবে ১৭ থেকে ২৩ মে সংক্রমণের ১১তম এবং ২৪ থেকে ৩০ মে ১২তম সপ্তাহ। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বিশ্নেষণ করে দুই সপ্তাহের এই চিত্র উঠে এসেছে।
আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, দশম সপ্তাহের শেষ দিনে চট্টগ্রামে শনাক্ত হয়েছিল ৬১৯ জন। ১২তম সপ্তাহে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৮ জনে। একই সময়ের ব্যবধানে কক্সবাজারে ১৬১ থেকে ৬৩৬, নোয়াখালীতে ১০৩ থেকে ৫৭৪, ফেনীতে ৪৮ থেকে ১৫৮, কুমিল্লায় ২৭৮ থেকে ৭৭১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সিলেটে শেষ দুই সপ্তাহে রোগী বেড়ে ৪০ থেকে ২৯২ জন হয়েছে। বগুড়ায় ২৯ থেকে ২১৮, মুন্সীগঞ্জে ২৯৭ থেকে ৬৯৮, নেত্রকোনায় ৯১ থেকে ২১১ এবং ফরিদপুরে ৫৫ জন থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭২ জন।