প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়েছে। এর আগে শনিবার সকাল ৭টা থেকে বন্দরে সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে, সন্ধ্যায় খুলনা সমুদ্রবন্ধরে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রস্তুতি হিসেবে অ্যালার্ট-৪ জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন বন্দরে সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ আছে।
এদিকে আজ সকাল ৯টার দিকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ এবং বিপদসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় দামপাড়াসহ সিএমপির সদর দপ্তরে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। নগরবাসীকে জরুরি প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিম্নোক্ত টেলিফোন ও মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে :
০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৬৭৯১২৩৪৫৬, ০৩১-৬৩৯০২২ ও ০৩১-৬৩০৩৫২