দিনাজপুরের পার্বতীপুরের জাহানাবাদ দারুল উলুম আলিম মাদরাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মনারুল ইসলাম মুন্না নামে এক শিবিরকর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রইচ উদ্দীন প্রামাণিক।
শুক্রবার সকালে উপজেলার তালিমুন্নেছা মাদরাসায় এই নিয়োগ পরীক্ষা হয়। অভিযোগ উঠেছে, ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে এই শিবিরকর্মীকে নিয়োগ দেয় পরিচালনা কমিটি।
জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ দারুল উলুম মাদরাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। শুক্রবার পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রতিনিধি এসে পরীক্ষা গ্রহণ করেন। পরীক্ষায় সাত প্রার্থী অংশ নিলেও শিবিরকর্মী মনারুল ইসলামকে মনোনীত করা হয়। মনারুলের বাড়ি শহরের বাবুপাড়া মহল্লায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক মমিনুল মাস্টার সাংবাদিকদের বলেন, শহরের বাবুপাড়ার মনারুল ইসলাম মুন্না জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত। এলাকার সবাই তাকে শিবিরকর্মী হিসেবে চেনে। শিবিরের ছেলেদের সঙ্গে তার সারাদিন চলাফেরা। যার প্রমাণ আওয়ামী লীগের হাতে আছে।
মাদরাসার অধ্যক্ষ একরামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মুন্নাকে বিধি অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে জামায়াত-শিবিরের কর্মী কিনা জানা নেই।
মাদরাসার সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রইচ উদ্দীন প্রামাণিক বলেন, পরীক্ষায় যে প্রথম হয়েছে, তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীর কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানতে মনারুল ইসলাম মুন্নার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।