১০ শতাংশ চাঁদা কর্তন জটিলতায় মাদরাসা শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারি মাসের এমপিওর চেক ছাড়ে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এমপিওভুক্ত মাদরাসা শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন থেকে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে ১০ শতাংশ টাকা চাঁদা হিসেবে কর্তন করার নির্দেশ দেয়া হয় মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে। গত সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগ থেকে এমন নির্দেশ পেয়ে তা কার্যকরের উদ্যোগ নিতে গিয়ে হোঁচট খায় মাদরাসা অধিদপ্তর।
জানা যায়, এমপিও প্রক্রিয়াকরণ ও বেতন-ভাতার সরকারি অংশ ছাড়করণের জন্য এখনও শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের ওপর নির্ভর করতে হয় মাদরাসা অধিদপ্তরকে। শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের সফটওয়্যারে ৬ শতাংশের ফরম্যাট করা রয়েছে। হঠাৎ ১০ শতাংশ কর্তন করতে পারছেন না। এ জন্য সময় লাগবে। এতে মাদরাসা শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারি মাসের এমপিওর চেক ছাড়ে দেরি হতে পারে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা। ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তারা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুককে সোমবার বিকেলে মৌখিকভাবে সফটওয়্যারের এ সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এরপর ইএমআইএস সেল কর্মকর্তাদেরকে তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হলেও সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তারা মহাপরিচালককে জানাতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ইএমআইএস সেলের অদক্ষতা ও অক্ষমতার তথ্য মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মো. আলমগীরকে জানানো হয়েছে।
কারিগরির শিক্ষক-কর্মচারীদের ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তন শুরু হয়েছে জানুয়ারি মাসের এমপিও থেকে। অপরদিকে স্কুল-কলেজের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের চেক সোমবার ব্যাংকে পাঠানো হলেও পূর্বের নিয়মে ৬ শতাংশ হারেই চাঁদা কর্তন করা হয়েছে।