কলেজছাত্র শুভঙ্কর হত্যার মূল হোতা সাইফুল ইসলামকে (২১) গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালীর বাউফল থানা পুলিশ। সাইফুল পেশায় একজন রঙমিস্ত্রি ও শুভঙ্করের বাল্যবন্ধু। জিজ্ঞাসাবাদে শুভঙ্কর হত্যায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে শুভঙ্করের কাছ থেকে সাইফুল ১০০ টাকা ধার নেয়। গত ২২ জুন সাইফুলের কাছে ওই টাকা ফেরৎ চায় সে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এজন্য শুভঙ্করকে হত্যার পরিকল্পনা করে সাইফুল। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে শুভঙ্করকে সোলাবুনিয়া বাজারে ডেকে নেয় সে। সন্ধ্যায় সেখানে দু’জনে একটি চায়ের দোকানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে গোলাবাড়ি বাজার এলাকার খালের পাশে যায় তারা। একসময় শুভঙ্কর প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে জঙ্গলের প্রবেশ করলে সাইফুল পেছন থেকে তার মাথায় লাঠির আঘাত করে। আঘাতে শুভঙ্কর পড়ে গেলে, রুমাল দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। পরে কোমরের বেল্ট ধরে টেনে নিয়ে শুভঙ্করকে খালে ফেলে সটকে পড়ে সাইফুল।
বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘কলেজছাত্র শুভঙ্কর হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুভঙ্করের ব্যবহৃত জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে আদালতের প্রেরণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, নিখোঁজের দুইদিন পর গত বুধবার সকালে খালে ভাসমান অবস্থায় শুভঙ্করের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুভঙ্কর বটকাজল গ্রামের সত্যরঞ্জন হালদারের ছেলে স্থানীয় নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। পটুয়াখালী জেলা সদরের করিম মৃধা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শুভঙ্কর। ওই ঘটনায় বাউফল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন শুভঙ্করের বাবা সত্যরঞ্জন হালদার।