এপ্রিলের শুরু থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে রমজান মাস। রমজানে পরীক্ষা নেয়া কতুটুকু যুক্তিসংগত তা ভেবে দেখার বিষয়। অতীতে হয়েছে বলে অভিভাবকদের স্মরণে নেই। ফলে এই পরীক্ষা আয়োজন কবে গিয়ে ঠেকবে তা কেউ বলতে পারছেন না। ১২ লাখ পরীক্ষার্থীর পড়ায় মন বসছে না বলে অভিভাবকরা দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন।
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশও পিছিয়ে যাচ্ছে করোনার কারণে। এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর নির্ভর করেই দেশের সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলবে। চার-পাচটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা গুচ্ছভিত্তিক হবার কথা রয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রমও পিছিয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেয়ারও সুযোগ পাবে না এই শিক্ষার্থীরা। সব মিলে নানা চিন্তা ভর করছে এসব শিক্ষার্থীর মনে।
ফওজুল কবির নামে একজন শিক্ষক বলেন, পরীক্ষার্থীদের আপাতত টিভি ও সোস্যাল মিডিয়ার খবর দেখার প্রয়োজন নেই। অভিভাবকদের উচিত তার সন্তানকে এই ধরণের খবর না শুনতে ও পড়তে দেয়া। এতে শিক্ষাথীদের মনে নানা ধরণের হতাশা ভর করে। ভয় ভীতি তৈরি হয়। তাই এ বিষয়টি অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে। আর এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উচিত পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন বইগুলো রিভিশন দেওয়া। আগামী ১৫দিন পর পরীক্ষা শুরু হবে এই ভাবনা নিয়ে পড়াশোনা করলে কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষা শুরুর বিষয় নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির ওপর সব কিছু নির্ভর করছে। তিনি জানান, পরীক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। হাতে ১৪ থেকে ১৫ দিন সময় রেখে নতুন রুটিন তৈরি করা হবে।