লেখক-শিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫ দিনের বিশ্রামে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বিশ্রামের উদ্দেশে সিলেট থেকে ঢাকা পৌঁছেছেন তিনি।
দুপুর সোয়া ১টার দিকে বেসরকারি নভোএয়ারের একটি বিমানে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। জাফর ইকবালের স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক ও মেয়ে ইয়েশিম ইকবাল তার সঙ্গে আছেন। বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে তিনি বাসার নিচে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি যেটার মধ্য দিয়ে গিয়েছি, এত সহজে বেঁচে আসার কথা ছিল না। আমি নিশ্চিত, অসংখ্য মানুষ আমার জন্য দোয়া করেছেন এবং তাদের দোয়ার কারণে আমি বেঁচে আছি। ছোট বাচ্চারা অসংখ্য চিঠি আমাকে দিয়েছে। আমি বসে বসে সেগুলো পড়েছি। সবাই আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, সে ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়া আমার পক্ষে আসলে সম্ভব নয়। আমি সবাইকে জানাচ্ছি, আমি ভালো আছি, আমার জন্য দোয়া করবেন।’
জনপ্রিয় এই লেখক বলেন, ‘যেহেতু আমাকে নতুন একটা জীবন দেওয়া হলো, আমি সবাইকে বলব আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমি বাড়তি যে সময়টা পেয়েছি, এ সময়টাতে যেন আমি তাদের জন্য কিছু করতে পারি। আমাকে যেন খোদা সেই ক্ষমতা দেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশটা এত সুন্দর। এত মানুষ তার জন্য প্রাণ দিয়েছে। ওরা (জঙ্গিরা) দেশটাকে ভালোবাসুক, ওরা দেখবে যে দেশটাও ওদের ভালোবাসবে। কাজেই আমি সবাইকে বলি, এত সুন্দর একটা দেশ, তোমরা সবাই এই সুন্দর দেশটাকে ভালোবাসো।’
অবসরে না গিয়ে ক্যাম্পাসে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের আবদারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আমি অবসরে গেলেও এটা তো আমার বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে এলে আমার কখনই মনে হবে না যে আমি অন্য কোথাও এসেছি। তাই আমি অফিসিয়ালি আছি কি নেই, তাতে কিছু আসে-যায় না। এটা আমার ইউনিভার্সিটি এবং আমৃত্যু এটা আমার ইউনিভার্সিটি থাকবে।’
বিকেলে জাফর ইকবালের ব্যক্তিগত সহকারী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘স্যার ঢাকা ঠিকমতো পৌঁছেছেন। উনি ডাক্তারদের পরামর্শমতো ১৫ দিনের বিশ্রামে যাচ্ছেন। এই কয়দিন উনি বনানীর ডিওএইচএসে নিজের বাসায় অবস্থান করবেন। বিশ্রামের দিনগুলো তিনি বই পড়ে ও লেখালেখি করে কাটাবেন।’ তবে তার ক্যাম্পাসে ফেরার দিন-তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি বলেও জানান জয়নাল।