১৭ শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনিয়ম, নার্সিং অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নার্সিং অধিদপ্তর গ্রহণ করলেও ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৈরি করে পাঠানো ফল নার্সিং অধিদপ্তর শুধুমাত্র প্রকাশ করার দায়িত্ব পালন করেছে।

তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই দাবি করেছেন নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের ভর্তি কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে তারা নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার ফল তৈরির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

আপাতত তাদের কথা আমলে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদের জবানবন্দি সংগ্রহের চেষ্টা করছে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নার্সিংয়ে ভর্তি প্রক্রিয়াটির সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও নার্সিং অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে। ফলে সাক্ষ্য গ্রহণকালে যে যা বলছে তাই আমলে নিয়ে তদন্ত করছেন। ১৭ শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনিয়ম হয়েছে কি না কিংবা কার দোষ তা জানতে আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আজম খানকে প্রধান করে ও উপ সচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে সদস্য করে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই নার্সিং কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম ও নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা) জাহেরা খাতুন, উপ-পরিচালক (শিক্ষা) মোছাম্মত শাহানাজ খাতুন, নার্সিং অফিসার মো. খোরশেদ আলম, উচ্চমান সহকারী এইচ এম মহসিন মিয়া ও অফিস সহায়ক মো. আল আমিনের জবাববন্দি গ্রহণ করেছে।

তদন্ত সূত্র আরও জানায়, এ পর্যন্ত যে কয়েকজনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। কিন্তু অসঙ্গতিগুলোর নেপথ্যে কে বা কারা দায়ী তা জানতে ভর্তি পরীক্ষার ফরম পূরণের সাথে জড়িত সংস্থা বিটিসিএল, যে সকল প্রতিষ্ঠানে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়েছেন তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করা প্রয়োজন। সকলের জবানবন্দি গ্রহণ করলেই অসঙ্গতি বা অনিয়মের জন্য দায়ী শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

তবে নার্সিং অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার অনিয়মের সাথে জড়িত নার্সিং অধিদপ্তরের অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজেদের দোষ ঢাকতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালকের ওপর দায় চাপাচ্ছেন।

তারা আরও বলেন, ১৭ শিক্ষার্থী ভর্তির অনিয়ম হয়েছে মেধা তালিকা থেকে নয়, অপেক্ষমান তালিকা থেকে। সুতরাং অনিয়ম হয়েছে অধিদপ্তরে, কতিপয় চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুকৌশলে এ অপকর্ম করেছে। মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভর্তির ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

তদন্তের ব্যাপারে জানতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মনিরুজ্জামান বাকাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বলেন, যুগ্ম সচিব স্যারের নির্দেশে তদন্ত কাজ চলছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তারা অনেকের সাথে কথা বলেছেন এবং বলবেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067770481109619