আগামী বছরের (২০২১) ছুটির তালিকা চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত তালিকাটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে সাধারণ ছুটি ১৪ দিন ও নির্বাহী আদেশে ছুটি ৮ দিন। মোট ২২ দিন সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি হলেও এর মধ্যে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে ৭ দিন। মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপরই ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ক্যালেন্ডার ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সরকারি ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সরকারি ছুটি অনুসরণ করে ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে থাকে। খবর একাধিক সূত্রের।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের সরকারি অফিসের ছুটির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। এতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছুটির তালিকা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। ইতিমধ্যে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাংলা একাডেমি প্রণীত ১৪২৭-২৮ বঙ্গাব্দের বর্ষপঞ্জি, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ধর্মীয় পর্বের তালিকা, আবহাওয়া অধিদফতর এবং আরবি প্রত্যেক মাসের ১ ও ইসলামি পর্বগুলো তালিকার সঙ্গে সমন্বয় করে ২০২১ সালের ছুটির খসড়া তালিকা প্রণয়ন করে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ইসলামি পর্বের শবেবরাত ২৯ মার্চ সোমবার, শবেকদর ১০ মে সোমবার, ঈদুল ফিতর ১৩ মে বৃহস্পতিবার, ঈদুল আজহা ২০ জুলাই মঙ্গলবার, আশুরা ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার, ঈদে মিলাদুন্নবী ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার উদযাপন করা হবে।
বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসের ছুটি সাধারণ ছুটির অন্তর্ভুক্ত। এ ছুটির মধ্যে ছয়টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চারটি শুক্রবার ও দুটি শনিবার। বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবস উপলক্ষে আট দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে। নির্বাহী আদেশে ছুটির মধ্যে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটি (শনিবার) রয়েছে। সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ২২ দিন হলেও সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবারের কারণে এই ছুটি কার্যত ১৫ দিন।
ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার সুযোগ রয়েছে। একইভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উপলক্ষে দু’দিনের ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রয়েছে।