২৫০ টাকার জন্য বই দেননি প্রধান শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারি বিনামূল্যের বই নিতেও গুনতে হচ্ছে টাকা। সেশন ফি ও উন্নয়ন ফি’র অযুহাতে বই উৎসবের দিনেও নতুন বইয়ের ঘ্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। টাকা দিতে না পারায় বই না নিয়েই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেশন ফি ও উন্নয়ন ফি ছাড়া দিচ্ছেন না নতুন বই। ওই টাকা জমা দিয়ে শ্রেণি শিক্ষকের কাছে স্লিপ জমা দেয়ার পর বই পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। যদিও বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমন হোসেন জানায়, ২৫০ টাকা দিতে পারিনি বলে প্রধান শিক্ষক আমাদের নতুন বই দেননি।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অপু শেখ জানায়, শিক্ষকদের সঙ্গে যাদের ভালো সম্পর্ক শুধু তাদেরই বই দিয়েছেন, আমাদের ২৫০ টাকা সেশন ফি ও উন্নয়ন ফি'র টাকা জমা দিয়ে বই নিয়ে যেতে বলেছেন। ২৫০ টাকার জায়গায় ২শ টাকা দিলেও দুইটি করে বই আটকে রেখেছেন প্রধান শিক্ষক।

একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্রতি বছর কোনো রকম খাত না দেখিয়ে সেশন ফি ও স্কুলের উন্নয়ন ফি'র নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের কাছে বার বার অনুরোধ করেও তাদের সন্তানরা বই পায়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল জানান, বাৎসরিক সেশন ফি বাবদ টাকা নেয়া হচ্ছে। আর কাউকে টাকা ছাড়া বই দেয়া হয়নি সেটা আমার জানা নেই। বই বিতরণ করেছে শ্রেণি শিক্ষক, তারা এমনটি করতে পারে।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসুধন সাহা বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওই স্কুলের সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলেছি প্রধান শিক্ষককে বলে দিতে টাকা ছাড়া বই দিয়ে দিতে। আর এবিষয়ে কেউ যদি আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহা বলেন, বই উৎসবের দিন অভিযোগটি আমার কানে আসার পর আমি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি বিষয়টি দেখার জন্য। পরবর্তীতে আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছি এটা করা তার ঠিক হয়নি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003809928894043