সরকারিকরণের তালিকায় থাকা ২৭১টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা সুখবর পাচ্ছেন সহসাই। এসব কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সম্মতি পেলে এ সপ্তাহেই জিও (সরকারি আদেশ) জারি হতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারিকরণে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার সম্মতি মিললেই জিও জারি করা হবে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ কোনো পর্যবেক্ষণও দিতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে ৩২৯টি স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ সরকারিকরণের প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্যসহ আনুষঙ্গিক সব তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন।
সরকারিকরণের তালিকাভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের সব সম্পত্তি সরকারকে ডিড অব গিফট (দানপত্র) দলিল করে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। স্কুলগুলো ধাপে ধাপে জাতীয়করণ করা হলেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির চাপে আটকে যায় কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন।
গত ৩১ জুলাই সরকারিকরণকৃত কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকর বিধিমালা ২০১৮ জারি করে সরকার। বিলুপ্ত হয় ২০০০ বিধিমালা। নতুন বিধি জারির পর দুই পক্ষই নীরব। এ অবস্থায় বাকি ২৮৫ কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে, মামলা মোকদ্দমা থাকায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞাপনের আওতাভুক্ত হতে পারছে না আপাতত। ২৭১টি কলেজের বিরুদ্ধে কোনও মামলা মোকদ্দমা নেই।
মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি কলেজ শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিপ্রাপ্ত ২৯৩টি কলেজ সরকারি করতে অর্থ ছাড়ের সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতি বছর একশ’ কলেজ সরকারিকরণের প্রস্তাব দিয়ে গত বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছিল। তিন ধাপে সরকারিকরণ করা হলে অসম প্রতিযোগিতা ও ঘুষ-দুর্নীতির আশঙ্কায় এক সঙ্গে সরকারিকরণ করতে পাল্টা চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়ালে শেষ পর্যন্ত পিছু হটে অর্থ মন্ত্রণালয়।