ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনের হলেও স্বাক্ষর করেছেন ২৯ দিন! আবার সাতই মার্চ স্বাক্ষর করেছেন ৯ মার্চ পর্যন্ত। আর এসব অনৈতিক কাজ আমলে নিয়ে ধানমন্ডি গভ: বয়েজ হাইস্কুলের তিন শিক্ষককে তিরস্কার করেছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক। তবে, অপর একজনকে তিরস্কারের চিঠি দিয়েও তা পরে প্রত্যাহার করে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দণ্ড পাওয়া তিনজন হলেন- বাংলার সহকারী শিক্ষক শরিফুন্নাহার, ইংরেজির সহকারী শিক্ষক সাখাওয়াৎ হোসেন, চারু ও কারুকলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক কমল চন্দ্র কর্মকার। পৃথক চিঠি দিয়ে এ তিন শিক্ষককে তিরস্কার করা হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য তাদের সতর্ক করেছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন।
স্কুল সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, গত ৭ মার্চ শিক্ষকদের হাজিরা খাতা খতিয়ে দেখেন প্রধান শিক্ষক। এ সময় তিনি দেখেন তিন শিক্ষক ৯ মার্চ পর্যন্ত অগ্রিম স্বাক্ষর করেছেন। ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে হলেও ইংরেজির শিক্ষক সাখাওয়াৎ হোসেন ২৯ তারিখ পর্যন্ত স্বাক্ষর করেছেন হাজিরা খাতায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার রাতে সাখাওয়াৎ হোসেন দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, এটা ভুলক্রমে হয়েছে। অফিসিয়াল প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রধান শিক্ষক আমাকে তিরস্কার করেছেন।চিঠিতে শাস্তির ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
চারু ও কারুকলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক কমল চন্দ্র কর্মকার দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের স্বাক্ষর করছিলাম। পরে দেখতে পাই মার্চ মাসের অংশে স্বাক্ষর করা হয়েছে। তা প্রধান শিক্ষকের নজরে আসলে তিনি অফিসিয়াল প্রসেসের অংশ হিসেবে আমাকে চিঠি দিয়েছেন।
এদিকে বিনা তদন্তে স্কুল কর্তৃপক্ষ তিরষ্কার দণ্ড দেয়ার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, তদন্ত শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর তিরস্কার দণ্ড দেয়ার এখতিয়ার রাখেন বলে আমরা জেনেছি। কারণ, সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ডিজি অফিস, প্রধান শিক্ষক নন।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বেশ কয়েকবছর আগে টাকার বিনিময়ে ছাত্রভর্তি করে তিরস্কার দণ্ড পেয়েছিলেন গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম। শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত শেষে তাঁকে দণ্ড দেয়া হয়। কিছুদিন পরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিনের মাধ্যমে তিরস্কার দণ্ড মওকুফ করিয়ে নেন জামাতপন্থী হাফিজ।