আইনি জটিলতায় দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে কিছুটা দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা। এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার রায়ের ওপর আপিল শুনানিতে উচ্চ আদালত কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। সে পর্যবেক্ষণগুলো বিবেচনায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদন গ্রহণ শুরু করতে কিছুটা দেরি হতে পারে বলে মত কর্মকর্তাদের। এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একক নিয়োগের চেয়ে রিট মামলা করেছিল প্রার্থীরা। সে রায়ের ১৩তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের নিয়োগের রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে এনটিআরসিএ। গত ১২ মার্চ আপিল শুনানি শেষে রায়ের ওপর কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রায়ের ওপর পর্যবেক্ষণ দিলেও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি উচ্চ আদালত। লিখিতভাবে সে পর্যবেক্ষণ এনটিআরসিএতে আসবে। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। যদিও আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত আদালত বন্ধ থাকবে। আদালতের পর্যবেক্ষণের লিখিত কপি দেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় এনটিআরসিএ। পর্যবেক্ষণের লিখিত কপি হাতে পাওয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
চলতি মার্চ মাসেই ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনার বিষয়ে এর আগে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছিলেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা।
ইতোমধ্যে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগে প্রস্তুতি শুরু করেছে এনটিআরসিএ। দেশের সাড়ে ১৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। আর গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে আবেদন গ্রহণ করতে কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটককে সফটওয়্যার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।