বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জাতীয় সম্মেলন৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা বাস্তবায়ন দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতাসহ জাতীয় শিক্ষানীতি অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা। শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। 

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য ও সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের  সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নু, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার। এতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল কাশেম। 

৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতার দাবির বিষয়ে সহমত পোষণ করে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষকদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। এসডিজি অর্জন করতে হলে শিক্ষা পরিবারের কোনো অংশকে বঞ্চিত বা অবহেলিত রাখা যাবে না। এসডিজি অর্জন করতে হলে এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষকদের ভাষা শিক্ষকদের মতো হতে হবে। প্রাপ্তির জন্য যৌক্তিকভাবে দাবি উপস্থাপন করতে হবে। শুধু ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বা বৈশাখী ভাতাই নয়, আরও অনেক কিছু রয়েছে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে। এটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকদের সব দাবি পূরণ হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিশাল বৈষম্য রয়েছে। আন্দোলনের পর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে পে স্কেলের ব্যবস্থা করা হলেও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থেকে বেসরকারি শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা, ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে সরকার। এরপর প্রথম পর্বে মাধ্যমিক শিক্ষা অতি তাড়াতাড়ি সরকারিকরণ করতে হবে।

ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে এবং শিক্ষকদের কল্যাণের জন্য আন্দোলন করছি। গত দুই বছরে অনেক আন্দোলন করেছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো মানা হয়নি। দাবি আদায়ে আগামীতেও আমরা আন্দোলন করব।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ এবং ২০১০ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকদের আর কোনো দাবি থাকবে না। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা আশা করি শিক্ষকদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।  আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আবার সরকার গঠন করলে ইউনস্কো ঘোষিত জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ আগামী বাজেটে বরাদ্দ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নু বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে সব সময় শিক্ষকদের পাশে পেয়েছি। বিভিন্ন দাবি আদায়ে এখনো শিক্ষকদের পাশে থাকব।

সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: কাওসার আলী শেখের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি রনজিত কুমার সাহা, সহসভাপতি বজলুর রহমান মিয়া, আলী আজগর হাওলাদার, কেন্দ্রীয় সদস্য জামিল মো: সেলিম প্রমুখ।


 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0058231353759766