অবশেষে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও তার সহযোগীরা। আজ মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাদের কাছে বকেয়াসহ ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে কত টাকা লাগবে তার শাখাভিত্তিক হিসেব কষে দেয়ার অনুরোধ করেছেন ইএমআইএস সেলের প্রধান জামিলুর রহমান। এর আগে সঠিকভাবে হিসেব দিতে না পারায় জামিলের ওপর বেজায় চটেছেন মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। ভুল হিসেবে উপস্থাপন করায় ধমক খেয়েছেন জামিলুর। শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। মহাপরিচালকের নির্দেশে ইএমআইএস সেল লিখিতভাবে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহায়তা চেয়েছেন বকেয়াসহ হিসেব মেলাতে।
হিসেব কষতে ব্যস্ত শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হিসেবে জটিলতা নিয়ে দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে ইএমআইএস সেলের সবাইকে তলব করেছেন মহাপরিচালক। কড়া নির্দেশ দিয়েছেন অবশ্যই হিসেব মিলিয়ে নভেম্বরের বেতনের সঙ্গেই প্রবৃদ্ধির টাকা দিতে।’
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষার এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, আমরা নভেম্বরের বেতনের সঙ্গেই পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধির টাকা বকেয়াসহ দিতে পারবো যদি কোনও টেকনিক্যাল সমস্যা না হয়। আজ মঙ্গলবার সারারাত অবস্থান করতে বলা হয়েছে ইএমআইএস সেলের সবাইকে।’
অধিদপ্তরের অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নভেম্বর মাসের বেতনের সঙ্গে প্রবৃদ্ধির টাকা পেতে হলে বেতন দিতে একটু দেরি হলেও হতে পারে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন ভবনের চারতলায় অবস্থিত ইএমআইএস সেল থেকে সাধারণ স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও ও বেতন-ভাতার যাবতীয় কাজ হয়। দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা একই জবাব, ‘ইএমআইএস সেল হিসেব মেলাতে পারছে না। প্রতিদিনই বলছেন আজ বিকেলের মধ্যে হিসেবে দেয়া হবে।’
জানা যায়, অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সেলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন জামিলুর রহমান।
গত ৮ নভেম্বর ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করেছে। কিন্তু এজন্য কত টাকা দরকার হবে এবং জুলাই থেকে যারা অবসরে গেছেন তাদেরকে আলাদা করে অবসর ও কল্যাণের জন্য মোট ৬ শতাংশ টাকা কিভাবে কেটে রাখা হবে অদ্যাবধি তার হিসেব মেলাতে পারছেন না ইএমআইএস সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এছাড়া যাদের চাকরিতে যোগদানের বছরপূর্তি হয়নি তাদেরকে এমপিও সফটওয়্যার থেকে কীভাবে আলাদা করবেন তাও ঠিক হয়নি।
লাখ লাখ শিক্ষক গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বকেয়াসহ পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধির টাকা পাওয়ার জন্য।