নতুন এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি প্রভাষকরা। বর্তমান নীতিমালায় বেসরকারি কলেজ ও মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে প্রভাষকদের আবেদনের কোন সুযোগ নেই। আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে সহকারী অধ্যাপকের যোগ্যতার শর্ত লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার, দীর্ঘ ১০ বছর চাকরি করার পর বেতন স্কেল বৃদ্ধি পাবে মাত্র ১ হাজারটাকা।
বিদ্যমান নীতিমালায় সহকারী অধ্যাপকদের উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। অথচ সহকারী অধ্যাপক আর প্রভাষক এদের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নাই। বর্তমানে চাকরির আট বছর পর ভাগ্যগুণে কেউ হয়ে যান সহকারী অধ্যাপক আবার কেউ থেকে যান আজীবন প্রভাষক। যে প্রভাষক অনুপাত প্রথার কারণে সহকারী অধ্যাপক হলেন, তার বিশেষ কৃতিত্ব কি আছে? অনুপাত প্রথা না থেকে পদোন্নতিটা যদি চাকরির একটা নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে হতো তাহলে সব প্রভাষকই এক সসময় সহকারী অধ্যাপক হতো। আর তখন সব প্রভাষকই উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে পারতো।
যেহেতু সহকারী অধ্যাপক বিশেষ কোন পরীক্ষা বা যোগ্যতার বলে হন না সেহেতু তিনি যদি উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করার সুযোগ পান, তাহলে অন্যান্য প্রভাষকরা কেন আবেদন করতে পারবেননা? এ প্রশ্ন সাধারণ প্রভাষকদের।
একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান ব্যাপক অংশগ্রহণ ও প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমান নীতিমালায় অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পদে প্রভাষকদের আবেদনের সুযোগ না থাকায় নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম থাকবে। যার ফলে বেশি যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাবেনা। যোগ্য প্রার্থী সংকটে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মান ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
তাই অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ পদ দুটির নিয়োগ ব্যাপক অংশগ্রহণ মূলকও প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার জন্য প্রভাষকদের আবেদনের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। আর এ জন্য সবার আগে প্রয়োজন ৫:২ অনুপাত প্রথা বাতিল করা। বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন, প্রভাষক, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]