ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে পাশ করা ৬৫ শিক্ষার্থীকে আইনজীবী সনদের তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের সুযোগ দিতে বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষার্থীদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে, এসব শিক্ষার্থীরা কেন বার কাউন্সিল পরীক্ষা অংশ নিতে পারবে না-এই মর্মে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বার কাউন্সিলের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বলেন, বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় অংশ নিতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ২০১৪-১৫ ব্যাচের ৬৫ শিক্ষার্থীর তালিকা পাঠানো হয়। তালিকা ৫০ জনের বেশি হওয়ায় বার কাউন্সিল ওই তালিকা ফেরত দেয়। শিক্ষার্থীরা বার কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্তটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। তিনি আরো বলেন, আদালতের রায় এসেছে ২০১৭ সালে। আর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ভর্তি নিয়েছে ২০১৪ সালে। তাহলে এসব শিক্ষার্থীরা কেন বার কাউন্সিল পরীক্ষা অংশ নিতে পারবে না? পরে আদালত তাদেরকে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিতে আদেশ এবং রুল জারি করেছেন।