প্রতিবছর ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব দিবস জাতীয়ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রতিবছর এ দিনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিরের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হবে। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভায় এ সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এ বৈঠক হয়। এর আগে এই সুপারিশ করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
নতুন প্রজন্মের কাছে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনসংগ্রাম, শেখ মুজিবুর রহমানের কারাবাসকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলোকে প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সংগঠিত করা এবং তাঁর দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে তাঁর জন্মদিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশটি মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি পালনের মাধ্যমে সারা দেশে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতাসংগ্রাম ও শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানকে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
জানা যায়, ১৩ জুলাই সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম ৮ আগস্টকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব করেছিলেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের জন্য সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে কোনো দিকনির্দেশনা এলে ভালো হয়।
এছাড়া আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ার সংশোধনী, ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালার খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।