আট লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও যশোরে একটি স্কুলের সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে চাকরি মেলেনি সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের নুর ইসলামের। তিন বছর ধরে ঘুরে ঘুষের সেই টাকাও ফেরত পাননি তিনি। এখন টাকার অভাবে প্রতিবন্ধী সন্তান ও অসুস্থ বাবার চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পারছেন না। গতকাল বুধবার দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
নুর ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমিতে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালের ২০ জুন তৃতীয়বারের মতো পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষায় তিনি প্রথম হওয়ার পরও তার কাছ থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও প্রধান শিক্ষক বিএম জহিরুল পারভেজ বিভিন্ন সময়ে আট লাখ টাকারও বেশি হাতিয়ে নেন। তার পরও তাকে না দিয়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন টাকা ফেরত চাইতে গেলে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করছেন।
নুর ইসলাম আরও বলেন, জমিজমা বিক্রি করে চাকরির আশায় প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা দিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি। অসুস্থ বাবা ও প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না।
টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বলেন, চাকরির নামে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ বানোয়াট। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের ফাঁসাতে নুর ইসলামকে দিয়ে এমন মিথ্যাচার করাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। নুর ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সভাপতির প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এসএম আকরাম হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক কুমার বোস, যুগ্ম আহ্বায়ক মাযহারুল ইসলাম, সদস্য ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।