প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ ৫ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত তাদের প্রতিনিধিত্ব বাতিল করার সামিল বলে জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ’। সোমবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আদিবাসী কোটা বাতিলের প্রতিবাদ ও কোটা বহালের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয় পরিষদের পক্ষ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথাও জানানো হয়।
এছাড়াও ৯ অক্টোবর সারাদেশে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন, ১০ অক্টোবর বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ ও ১৩ অক্টোবর শাহবাগে প্রতিবাদ গান ও সংহতি সমাবেশে করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক উইলিয়াম নকরেক।
লিখিত বক্তব্যে উইলিয়াম নকরেক বলেন, ‘প্রান্তিক অঞ্চলে বসবাসের ফলে আদিবাসীরা শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ভিন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির ফলে বাংলা মাধ্যমে পড়াশুনা করে ভাল ফল করা দুঃসাধ্য। তাদের মধ্যে ঝরে পড়ার হারও বেশি। দেশে এখনও অনেক আদিবাসী সম্প্রদায় আছে, যাদের কেউ এখনও সরকারি চাকরিতে আসতে পারেনি। এই অবস্থায় আদিবাসী কোটা বাতিল তাদের প্রতিনিধিত্ব বাতিল করার শামিল।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘অন্যান্য কোটা সম্পর্কে বিতর্ক ও ভিন্নমত থাকলেও আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী কোটা রাখার পক্ষে সবার মত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজে এই অনগ্রসর জন্য কোটা রাখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সরকার কোটা উঠিয়ে দিলো, যা এই জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে দেবে। কোটার সংস্কার হতে পারে, তবে তা তুলে দেওয়া আদিবাসীদের জন্য কল্যাণকর হবে না।’