‘এখানে বসে হাততালি না দিলে বঙ্গবন্ধু খুশি হবেন। আর তার আত্মা শান্তি পাবে তখন, যখন আমরা অপকর্ম করা থেকে বিরত থাকব। সবাই বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, বঙ্গবন্ধুকে সবাই কতটা সম্মান করি। তার আদর্শ আমাদের জীবনে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে? সেটাই আজ আমাদের আত্মজিজ্ঞাসা করার সময় এসেছে।’ বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট ) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইডেন মহিলা কলেজে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি একদিন ইডেন কলেজের প্রিন্সিপালকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি আমার কাছে কিছু অপকর্মের কথা জানান। আমি তাকে এই অপকর্ম রুখতে বললে তিনি বললেন, তিনি ভয় পান, সাহস পাচ্ছেন না। প্রিন্সিপাল আপনি যদি সাহস না পান, তাহলে এই ইডেন কলেজ কিভাবে চালাবেন? অপকর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহস থাকতে হবে। রাজনীতির নামে অপরাজনীতি মেনে নেয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ শামছুন্নাহার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক। শিক্ষা ক্যাডারের শত শত জুনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে তাকে অধ্যক্ষ পদে বসানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখানে কোনো গ্রুপ নেই। ছাত্রলীগ আমার দৃষ্টিতে সবার মতো একই। আমার সৎ সাহস আছে কথা বলার।আজকে আমরা কিছু নেতা সৃষ্টি করলাম, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা তাদের পছন্দ করে না, এই ছাত্রলীগের দরকার নেই। যাদের নেতা বানালাম, তারা নেতৃত্ব দিয়ে ছাত্রলীগের ইমেজ বাড়াবে, সমর্থক বাড়াবে, কর্মী বাড়াবে।’
উল্লেখ্য, অন্যায়ভাবে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ শামছুন্নাহারকে। তাকে ছাত্রীদের সবচাইতে বড় কলেজ ইডেনের অধ্যক্ষও করা হয়েছে শত শত সিনিয়র অধ্যাপককে ডিঙ্গিয়ে। তিনি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাবেক একান্ত সচিব ও অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদের স্ত্রী। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেয়নি মর্মে চাউর রয়েছে। তিনি সচিবালয় ক্যাডার থেকে প্রশাসন ক্যাডারে আত্তীকৃত হন।