পরিত্যক্ত কক্ষে শিক্ষার্থীদের বিশ্রামাগার!

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি |

পরিত্যক্ত শ্রেণিকক্ষই শিশু শিক্ষার্থীদের বিশ্রামাগার! কিছুক্ষণ পরই বাজবে পাঠদানের ঘন্টা। কিন্তু তখনও খোলা হয়নি মূল ভবনের শ্রেণিকক্ষ। এরই মাঝে অনেক ক্ষুদে শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসেছে। তাদের বিশ্রাম কিংবা অপেক্ষার জায়গা নেই। তাই মূল ভবনের পাশেই পরিত্যক্ত শ্রেণিকক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছে। কেউবা আবার ঘরের বারান্দায় খেলাধুলায় ব্যস্ত। অথচ মাথার উপর ঝুলছে ভাঙাচোরা টিনের চালা। পলেস্তর খসে পড়া দেয়াল। নড়বড়ে বাঁশের খুঁটি। সেদিকে খেয়াল নেই কোমলমতি শিশুদের। পরিত্যক্ত ঘরটি ভেঙে যে কোনো মুহূর্তে বিপন্ন হতে পারে এসব ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অনাগত ভবিষ্যত্। নিত্যদিনই ঘরের ভেতর-বাইরে দুরন্তপনায় মেতে উঠছে শিক্ষার্থীরা।

জেলায় ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টি ১৯৪৩ সালে স্থাপিত। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২১৮ শিক্ষার্থী ও সাতজন শিক্ষক রয়েছে। বিদ্যালয়ের মূল ভবনের পাশে টিনসেড পুরানো ঘর। ঘরটি সংস্কারের অভাবে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ঘরটি শিক্ষার্থীদের জন্য মরণফাঁদ। প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা বিভাগ থেকে দুই বছর আগে ঘরটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ঘরটি আজও অপসারণ করা হয়নি। প্রায় চার বছর ধরে ঘরটি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মরণফাঁদ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

সরেজমিনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের খেলাধুলা ও বিশ্রামের কোনো জায়গা নেই। তাই পাঠদান শুরু হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এ ঘরটি ব্যবহার করছে। এছাড়া তারা বুঝতেও চায় না যে এ ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে জীবনের চেয়ে বিনোদনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিত্যক্ত ঘরটি অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষা কর্মকর্তার উদাসীনতা রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি। তবে শিক্ষা কর্মকর্তার উদাসীনতায় অকালে ঝরে পড়তে পারে শিশু শিক্ষার্থীদের জীবন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ঘরটি অপসারণের জন্য দীর্ঘদিন আগে শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা হয়েছে। ঘরটি ব্যবহার না করার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। তারপরও আমাদের অগোচরে কতিপয় শিক্ষার্থী না বুঝে ঘরটি ব্যবহার করছে।

ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ঘরটি অপসারণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049419403076172