পদোন্নতির বিরোধিতা করছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারেরই কোনও কোনও কর্মকর্তা। বিরোধিতা করার কিছু তথ্য প্রমাণ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে সংরক্ষিত আছে। ৮ জুলাই শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের রাত ৮টার ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে অংশ নিয়ে এমনটাই জানালেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। সঞ্চালনায় ছিলেন দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান।
সেলিম উল্লাহ খোন্দকার লাইভে আরও বলেন, আজ দুপুর বারোটা থেকে প্রায় তিনটা পর্যন্ত সচিবালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট চারজন নেতা অংশ নেই। আলোচনার এক পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ শিক্ষাসচিবকে জনাই, প্রায় দুই বছর ধরে শিক্ষা ক্যাডারে কোনও পদোন্নতি নেই। বছরে কমপক্ষে দুটো ডিপিসির দাবি করি। আলোচনার এ পর্যায়ে সচিব খোলাসা করে দেন সবকিছু। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার অতিরিক্ত সচিব আবুল আহসান চৌধুরী, যুগ্ম-সচিব মুকেশ রায় ও সরকারি কলেজ শাখার উপসচিব শ্রীকান্ত চন্দ উপস্থিত ছিলেন।
“সচিব মহোদয় বললেন, আমার কাছে এসে শিক্ষা ক্যাডারেরই কেউ কেউ পদোন্নতির বিরোধিতা করেছেন, আমার কাছে সব তথ্য-প্রমাণ আছে। আমাদেরই সহকর্মীদের এমন ভূমিকার কথা শুনে আমরা চারজন বিব্রতই হলাম,” যোগ করেন সেলিম উল্লাহ খোন্দকার ।
তিনি বলেন, সমন্বিত পদ সৃষ্টি, সময়মতো পদোন্নতি, এসএসবির মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগসহ বিসিএস সাধরণ শিক্ষা ক্যাডারে বিরাজমান নানা সমস্যা নিয়ে সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়। শিক্ষা সচিবের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকে পদোন্নতি, পদসৃষ্টি, পদসোপান তৈরিসহ নানা বিষয়ে আমাদের কথা শোনেন। বিরাজমান সব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে সচিব জানান। আগামী সপ্তাহেই অধ্যাপক পদে পদোন্নতির বৈঠকের আশ্বাস দেন সচিব। পদোন্নতিযোগ্য সব কর্মকর্তার পদোন্নতির বিষয়টি তিনি খেয়াল রাখবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, পদাধিকার বলে শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি কমিটির সভাপতি শিক্ষা সচিব।
সচিবের সঙ্গে বৈঠকে আরো অংশ নেন সাবেক মহাসচিব মো মাসুমে রব্বানী খান ও অলিউল্লাহ মো আজমতগীর ও স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের সদস্য-সচিব সৈয়দ জাফর আলী।
এর আগে গত ১৬ জুন এই নেতারাই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিার সঙ্গে বৈঠক করেন।