খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ বলেছেন, বিশ্বায়নের যুগে তথ্যের আদান-প্রদান উন্নয়নের পূর্বশর্ত হয়ে উঠেছে। উন্নয়নের মূল চাবিকাঠী এখন যোগাযোগ। শিক্ষাক্রমের মধ্যে যদি যোগাযোগ বিষয়টি যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং শিক্ষার্থীদেরকে এ বিষয়ে মনযোগী করা যায় তাহলে উন্নয়ন আরও গতিশীল ও টেকসই হবে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে ‘কমিউনিকেশন ফর ডিভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নয়ন হলে সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। মানুষ তার অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন হতে পারবে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ নিয়ে এ সিম্পোজিয়াম আয়োজনে সহযোগিতা করায় ইউনিসেফ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আইন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. ওয়ালিউল হাসানাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর মোছা. তাছলিমা খাতুন, ইউজিসির সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর সুরাইয়া ফারহানা, ইউনিসেফ খুলনা বিভাগের কমিউনিকেশন ফর ডিভেলপমেন্ট অফিসার উম্মে হাবীবা, বাংলাদেশ বেতারের সহকারী পরিচালক মামুন আক্তার, ইউনিসেফের খুলনা অফিসের অফিসার ইন-চার্জ এস এম নাজমুল আহসান।
এছাড়া পাওয়ার পয়েন্টে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মূল বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহীও বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া আর্টস অ্যান্ড স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর অ্যামিরেটাস ও ইউনিসেফের কমিউনেকশনস বিষয়ক কনসালটেন্ট ডেভিড এইচ মোল্ড।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিউনিকেশনস ফর ডিভেলপমেন্ট কোর্সের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের প্রধান মো. হাসান হাওলাদার, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল জববার, ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আশিকুর রহমান।
সিম্পোজিয়ামে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।