‘শিক্ষকরা নির্দোষ, সরকারি স্কুল-কলেজে আমরা নির্বাচনী অলিম্পিয়াড করেছি, এতে শিক্ষকদের কোনও দোষ নেই। শিক্ষকদের নয়, শাস্তি দিলে আমাকে দিন।’ এভাবেই শিক্ষকদের পক্ষে সাফাই গাইলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। সোমবার (২৬ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালকের সঙ্গে এভাবেই বাহাস করেছেন বদিউল আলম মজুমদার। সোমবার দুপুরে তিনজন সঙ্গীসহ বদিউল আলম মজুমদার শিক্ষা ভবনে প্রবেশ করেন। তার অপর দুই সঙ্গী শিক্ষা অধিদপ্তরের যথাক্রমে পাঁচ ও ছয়তলায় যান। তারা শিক্ষা অধিদপ্তরের সৈয়দ মইনুল নামের একজন কর্মকর্তা ও সৈয়দ লিয়াকত আলী একজন কর্মচারীকে খুঁজেছেন বলে জানা যায়। বদিউল মজুমদার একজন উপ-পরিচালক, সাধারণ প্রশাসন শাখা ও শেষে একজন পরিচালকের কক্ষে প্রবেশ করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক শিক্ষাকে জানান।
জানা যায়, নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের নামে সরকার বিরোধী প্রচারণার জন্য সারাদেশের ৩০টিরও বেশি সরকারি স্কুল ও কলেজ ব্যবহার হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক চিঠিতে বলা হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্টের যৌথ উদ্যোগে সারাদেশের ৩০টি নির্বাচনী এলাকার ২৭৫টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্কিত ও সরকারবিরোধী কার্যক্রমের আয়োজন করা হয় । বিনা অনুমতিতে ভেন্যু ব্যবহার করতে দেয়ার অভিযোগে সরকারি হাইস্কুল ও কলেজে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলে এমপিও বাতিল করা হবে বলে জানা যায়। 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি ছাড়াই প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এই অলিম্পিয়াডের জন্য এনজিও দুটিকে ভেন্যু ব্যবহার করতে দেন। এতে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। স্থানীয় পর্যায়ে অলিম্পিয়াড শুরু হয় ২৬ সেপ্টেম্বর শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। জাতীয় পর্যায়ে ১০ নভেম্বর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, বদিউল আলম মজুমদার ও তার কয়েকজন সঙ্গী একজন পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের জন্য সরকারি বেসরকারি কোনও স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ার সুপারিশ করেন।
