সবসময়ই কাজের পরিবেশ হতে হয় আনন্দময়। তাতে মনও ভালো থাকে, অন্যদিকে কাজকর্মও গতিশীল হয়। কাজের পরিবেশ ভালো না হলে কর্মস্পৃহা যেমন কমে, তেমনি ধীরেধীরে আগ্রহটুকুও হারিয়ে যায়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে কথাটি ভেবে দেখার মতো। তাঁরা প্রথমে যে বিদ্যালয় বা কলেজে প্রবেশ করেন, সেখান থেকেই অবসরে যান। একই জায়গায় দীর্ঘদিন পেশাগত দায়িত্ব পালন করলে একঘেঁয়েমি তৈরি হয়। কেউ কেউ জড়িয়ে পড়েন রাজনৈতিক-অপরাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মতৎপরতায়। শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় তাঁরা দায়সারা ভূমিকা পালন করেন।
বাড়তি কিছু সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য কেউ কেউ আবার স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সভাপতির মনোরঞ্জনের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। এভাবে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা লাভও করেন। এসব নীতিবিরুদ্ধ কার্যকলাপ দেখতে দেখতে তাঁদের মাঝে তৈরি হয় গ্রুপিং। যারা স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন, তাঁরা অন্যান্যের ওপর দাপট দেখান, খবরদারি করতে চান। এভাবেই বিষিয়ে ওঠে অন্যান্য শিক্ষকের জীবন। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় বদলিপ্রথা চালু করা। তাঁরা বদলি হলে নতুন স্থানে নতুন উদ্যোমে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন বলে শিক্ষকসমাজ মনে করেন। সংশিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন এই যে, দূর-দূরান্তে চাকরিরত যে সমস্ত শিক্ষক বদলি নিতে আগ্রহী, তাঁদের বদলির ব্যবস্থা করা হোক।
লেখক: রবিউল ফিরোজ , সহকারী শিক্ষক, আত্রাই, নওগাঁ।
সূত্র: ইত্তেফাক।