শিক্ষা কোন সুযোগ নয়, অধিকার। অামাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য শিক্ষা একটি উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ। তাই বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য একের পর এক সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারী কর্মচারিদের জন্য চালু করা হয়েছে বৈশাখি ভাতা এবং বাৎসরিক ইনক্রমেন্ট। কিন্ত অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা গত বছর তা হাতে পায়নি। অাসছে বৈশাখে পাবেন কিনা তাও স্পস্ট নয়।
জাতি -ধর্ম -বর্ণ সবাই একত্রে পালন করেন পহেল বৈশাখ। কেননা এটাই বাঙালির সবচাইতে বড় সার্জনীন ঊৎসব। যেখানে হিন্দু- মুসলিম, অাওয়ামীলীগ -বি এনপি, ধনি -গরীবে কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই সমান অানন্দের ভাগিদার । অার সেই অানন্দকে বৈশাখি ভাতা সরকারি কর্মচারিদেরকে অানন্দে ভাসালেও হতাশার সৃষ্টি করছে এমপিও শিক্ষকদের। কারণ, গত বছর মার্চের বেতনের সাথেই সরকারি কর্মচারীরা তাদের বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখি ভাতা পেয়েছন । অন্যদিকে বুকভরা অাসা নিয়ে চাতক পাখির মত চেয়ে থাকা এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা কৌশলে বঞ্চিত হয়েছেন তাদের ন্যয্য পাওনা থেকে।
এমপিও শিক্ষকদের নুতন স্কেলের বেতন নিয়েও সংসয় ছিলো। তার পর অনেক চড়াই -ঊৎরাই শেষে তারা তাদের নতুন স্কেলের বেতন হাতে পান।নতুন স্কেলের বেতন পাওয়ার অানন্দে বৈশাখি ভাতা না পাওয়ার কস্ট হয়তো ভুলেও গিয়েছিলেন। অার সেই সুযোগে কোন এক শ্রেনি তাদের ন্যয্য পাওনা না দেওয়ার পক্ষে কাজ করছেন এবং সফলও হয়েছিলেন।
এমপিও শিক্ষকদের অারেকটা প্রত্যশা ছিলো, গত জুলাই মাসের ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট । সেটাও তারা পাননি, অথচ তাদের সেটাও ন্যয্য পাওনা ছিলো। সরকারী কোষাগার থেকে যে সকল কর্মচারি বেতন পান সবাই তাদের মুল বেতনের ৫ শতাংম ইনক্রিমেন্ট পেলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা পেলন না । এবছরও পাবেন কিনা তা নিয়ে অাজো সংশয় রয়ে গেলো।
অাগামী এক মাস পর অাবারও মার্চের বেতন বিল প্রস্তুত করবেন অধিদপ্তরের অফিসাররা। তখন কি করবেন এমপিও শিক্ষকদের? তখনও কি তাদের বঞ্চিত করবেন? নাকি, সময় থাকতে অালোচনা শুরু করবেন । অাপনাদের অবহেলায় এ বছরটাও যেন তাদের মাটি না হয় । এমপিও শিক্ষরা তো সরকারী কোষাগার থেকেই বেতন পায়। বাড়ী ভাড়া পায়, চিকিৎসা ভাতা পায়। তবে বৈশাখি ভাতা কেন পাবেনা।
অাশাকরি কতৃপক্ষ বিষয়টি উপলব্ধি করে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।
লেখক: প্রভাষক, অর্থনীতি।