অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের বাছাইপর্বের আজ শুক্রবার বিকেল ভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিকেল ভাগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে বলে একাধিক পরীক্ষার্থী কাছে অভিযোগ করেন। বিকেল ভাগের ফাঁস হওয়া কথিত প্রশ্নের নমুনা আগে প্রকাশ হয়ে যায় পরীক্ষার্থী দের কাছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে হয়। কমিটি সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে তারা সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তারা দরপত্র দেয়। অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষার দরপত্র পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ।
বিভাগের চেয়ারম্যান আবু তালেব আজ বেলা সোয়া একটার দিকে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল ভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আর সকালে হয়ে যাওয়া পরীক্ষার বিষয়ে তাঁরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
এর আগে দুপুর সাংবাদিকরা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে নাকি? কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।’
পরীক্ষা শুরু আগেই ফেসবুকে প্রশ্ন ছড়িয়েছে শুনে আবু তালেব বলেছিলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
ছাপা হওয়া প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর আগে আগে কেন্দ্রে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা কীভাবে রাতেই পরীক্ষার্থীদের হাতে গেছে—এমন প্রশ্নে আবু তালেব বলেন, কীভাবে ছড়াল তা জানা নেই।
ভোর রাত থেকে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানালে মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের কেন জানালেন না?’
পরীক্ষা শুরুর আগেই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে জানালে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সংবাদ দেখার সময় কখন! আর এখন প্রচণ্ড মাথা গরম। আপনার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে পারব না।’
সূত্র জানায়, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ জানার পর ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ তৎপর হয়। তারা সকাল ও বিকেল ভাগের পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করে। যাচাই শেষে বিকেল ভাগের পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। গত ২১ এপ্রিল ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।