স্কুলভর্তিতে মাত্রাতিরিক্ত ফি আদায়কে ‘অনভিপ্রেত’ আখ্যা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর(মাউশি)। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ারও ‘কাগুজে’ হুমকি দিয়েছে মাউশি।
বই দেওয়ায় বিনিময়ে টাকা আদায় করলেও শাস্তির হুমকি দিয়েছে অধিদপ্তর।
দেশের অধিকাংশ মাধ্যমিক ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষ এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র কয়েকগুণ বেশি আদায় করার পর এই অফিস জারি করাকে ‘হাস্যকর’ ও ‘অদক্ষতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকরা।
দূর্নীতির দূর্গখ্যাত মাউশি অধিদপ্তর আজ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) এক অফিস আদেশে সরকার কর্তৃক জারিকৃত ভর্তি নীতিমালায় উল্লেখিত ফি’র অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেছে, ‘কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। নীতিমালার ব্যতয় ঘটিয়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়াকে ‘অনভিপ্রেত’ আখ্যা দিয়েছে মাউশি।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. এলিয়াছ হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশটি দেশের সকল স্কুল-কলেজের প্রধান বরাবর পাঠিয়েছেন মর্মে দেখানো হয়েছে ওয়েবসাইটে দেওয়া আদেশের কপিতে।
তবে, বাস্তবে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করেন তারা মাউশির ওয়েবসাইট ভিজিটিও করেন না আর ওই আদেশও খুব একটা গুরুত্বের সঙ্গে নেন না। মাউশির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই ভর্তি তদবির করেন তাই দায়সারা ও সাংবাদিকদের দেখানোর জন্য ফি বছর ভর্তিশেষে একটা করে অফিস আদেশ জারি করে থাকেন।
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে একজন ভর্তিচ্ছুকের অভিভাবক দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানান, তার ছেলেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে ওয়ানে ভর্তি করিয়েছেন। কোথায় নীতিমালা কোথায় মাউশি?৫ জানুয়ারি অফিস আদেশ জারি করা কাগুজে হুমকি ছাড়া আর কি?
ভর্তি শেষে অফিস আদেশ জারিকরা হাস্যকর বৈ আর কিছু না। কর্মকর্তাদের অদক্ষতাই এর কারণ।
ভর্তি ফি আদায়ের এই চিত্র সারাদেশে প্রায় একই।
বিগত বছরগুলোতে মাউশি কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এমন কোনও নজির দেখাতে পারেননি এলিয়াছ।