শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের খোলা চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন অতিরিক্ত শেণি শিক্ষকরা। শিক্ষকদের চিঠিটি হুবহু এরকম:

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী,
আসসালামু আলাইকুম

আশা করছি পরম ব্যস্ততার মাঝে পরম করুনাময় আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্ন এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ এবং এসডিজি’র লক্ষ্য পূরণে শিক্ষিত জাতি গঠনের আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে আপনি আলোর দিশারী। ঝড়ে পড়া গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে বাংলাদেশের ৬২ উপজেলায় অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে প্রায় ৫ হাজার ২০০ জন অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) নিয়োগ দেয়া হয়।

আপনি অবগত আছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অভিমুখী করে যুগোপযোগী মানসম্মত শিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেকায়েপ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ের এসিটিবৃন্দ নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি প্রতিমাসে ১৬-২০ টি অতিরিক্ত ক্লাস এবং নিয়মিত হোম ভিজিটের মাধ্যমে গ্রামের অসহায়, দরিদ্র ও দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আপনি অবগত আছেন ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এ প্রকল্পে দেশের মেধাবী তথা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সর্বোচ্চ ফলাফল প্রাপ্তদের নিয়োগ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, সেকায়েপ কর্তৃক পরিচালিত এসিটি কম্পোনেন্ট মেয়াদ ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। নিয়োগকৃত শিক্ষকদের ম্যানুয়ালে চাকরি স্থায়ীকরণ অথবা পরবর্তী প্রকল্পে স্থানান্তরের কথা উল্লেখ থাকলে ও তা বাস্তবায়নে কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। প্রকল্পের নিয়োগকৃত দেশের ৫ন হাজার ২০০ এসিটির অধিকাংশ সরকারি বয়সসীমা অতিক্রম করছে। এসিটিদের যদি চাকরি স্থায়ীকরণ না করা হয় তবে এতগুলো মেধাবী জীবন বেকারত্বের অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে এবং তাদের জীবন হয়ে উঠবে অভিশপ্ত।

মাননীয় মন্ত্রী,

আপনি অবগত আছেন, এই প্রকল্পের সকল এসিটি স্ব স্ব বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ভবিষ্যতে চাকরী স্থায়ীকরণ অথবা SEDP তে স্থানান্তারিত হওয়ার আশায় এখনো বিদ্যালয়সমূহে নিয়মিত পাঠদান অব্যাহত রেখেছে। বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক মহলের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেয়া লজ্জাজনক এবং অস্বস্তিকর হয়ে পড়েছে। শিক্ষার আলো জ্বালাতে এসে যেন এসব এসিটিদের জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত না হয় এবং তাদের সুনাম, খ্যাতি ও ছাত্রছাত্রীদের দেয়া সম্মান নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে সুযোগ পেতে পারে।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী,

দেশের সকল এসিটিদের পক্ষে আমার একটাই আবেদন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসিটিদের চাকরি স্থায়ীকরণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে আরো গতিশীল করার লক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এসিটি শিক্ষকদের পক্ষে
সম্রাট রোমান


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025811195373535