শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মাহমুদুল হককে বদলি করা হলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। তাকে কুমিল্লা বার্ডে পাঠানোর আদেশ হয়েছিলো। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সেকায়েপ প্রকল্পে দীর্ঘদিন তিনি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে থেকে নানা অনিয়ম করেছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের অধীনে কয়েক হাজার শিক্ষকের চাকরীজীবন ধ্বংসের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সময়মতো পদক্ষেপ না নেয়ায় সেকায়েপ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেনি সরকার। আর বঞ্চিত হয়ে পথে পথে ঘুরছেন হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষক। এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনও করতে দেয়া হয়নি শিক্ষকদেরকে। খুলনা অঞ্চলের কৌশিক নামের একজন সেকায়েপ শিক্ষককে দিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।
এহেন মাহমুদুল হককেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) পদ দেয়া হয়। ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের শুরুতেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পদাধিকার বলে তিনি মাহমুদ ওই প্রকল্পেরও প্রধান ছিলেন। তিনি বিএনপি জমানার একজন মন্ত্রীর পিএস হিসেবে দীর্ঘদিন ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানার চেষ্টা করেও মাহমুদকে পাওয়া যায়নি।