সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পর রাজবাড়ীর সেই শিক্ষার্থী হাবিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক। হাবিবের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
জন্ম থেকে দুই হাত নেই হাবিবুর রহমানের। পা দিয়ে লিখে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪ দশমিক ৬৩ পেয়ে পাস করেছে সে। অর্থাভাবে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়াই ছিল তার দুশ্চিন্তা। হাবিব রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার হেমায়েতখালী গ্রামের আবদুস সামাদ মিয়ার ছেলে। পাংশা উপজেলার পুঁইজোর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে সে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়।
কৃষক লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী হক রাজবাড়ী থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক। তিনি বলেন, 'হাবিব আমাদের এলাকারই ছেলে। যেভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে দাখিল পাস করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। অর্থাভাবে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে- এটা হতে পারে না। তার মনের অদম্য ইচ্ছা জাগিয়ে তুলতে পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছি। আপাতত উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে হাবিবের পড়াশোনার সব খরচ বহন করব।'
এদিকে, কৃষক লীগ নেতা পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ায় হাবিব ভীষণ খুশি। এ জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সে।