বাংলাদেশের মুক্তবুদ্ধির চর্চা, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক এবং গৌরবদীপ্ত ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, উচ্চশিক্ষার বিস্তারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান সর্বজনবিদিত। আজ রবিবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’। এ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র বিনির্মাণ, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাক্ষা পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সহযোগী।
তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং জ্ঞান ও মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন। অনেকে শহীদ হয়েছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অপশক্তির নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। উন্নয়নের এ ধারায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে- এ আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।খবর বাসস।