ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মীর মো: মোশারফ হোসেনকে লাঞ্ছিত করায় ১৩ কর্মচারীকে পৃথক শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ১৩ কর্মচারীকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র।
অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করায় ১৩ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘কেন বিধিমালা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না’, তার সন্তোষজনক লিখিত জবাব ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারীদের কেউ ব্যক্তিগত শুনানি চাইলে তাও অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানাতে বলা হয়েছে।
শোকজ নোটিসে বলা হয়, গত ৭ জুন ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মীর মোশারফ হোসেন সরকারি কাজ শেষে নিজ কর্মস্থলে রওনা হন। বিকেল ৩টার দিকে কর্মস্থলে পৌছালে অভিযুক্ত ১৩ কর্মচারী অধ্যক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। পরে অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ঢাকায় ফেরত যাওয়ার জন্য জোর করে গাড়িতে তুলে দেন। নোটিসে বলা হয় এ ধরণের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
১৩ কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের সাথে অসদাচরণ ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর মো: রফিকুল ইসলাম কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, ক্রাফট ইন্সট্রাকটর মো: ফারুক হোসেন পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, ক্রাফট ইন্সট্রাকটর তৌফিক ইমাম রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, ক্রাফট ইন্সট্রাকটর সন্তোষ কুমার রায় চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, অফিস সহায়ক মো: রমজান আলী মোল্লা চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, অফিস সহায়ক সহিদুল ইসলাম ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, অফিস সহায়ক তাইজদ্দিন আহম্মেদ বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, অফিস সহায়ক নুর আলম খান সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, বুক সর্টার মো: জাকির হোসেন চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো: জাবেদ আলী দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, ওয়ার্কশপ খালাসী নাসির উদ্দিন খন্দকার রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, ক্যাশ সরকার বি এম হারুনর রশিদ কক্সবাজার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে এবং ল্যাব বেয়ারার মো ইসমাইল সিকদার যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে বর্তমানে কর্মরত আছেন।