অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ |

পরীক্ষা কেন্দ্রে অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ বসে থাকলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ও ট্যাগ অফিসার।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) নওগাঁয় মান্দা উপজেলার গোটগাড়ী শহীদ মামুন সরকারি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব ও অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোটগাড়ী শহীদ মামুন সরকারি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র। মঙ্গলবার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে বেলা ১১টার দিকে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে ইউএনও লায়লা আনজুমান বানু ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম রেজা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন। 

তাঁরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কক্ষ বন্ধ দেখতে পান। এ সময় কক্ষের তালা খুলে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সচিব ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় ওই কক্ষের তালা ভেঙে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্যাগ অফিসার ভেতরে প্রবেশ করেন। 

কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের সব শ্রেণিকক্ষ পরীক্ষা গ্রহণের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পরীক্ষা গ্রহণের কোনো দায়িত্বে না থাকায় বিধি অনুযায়ী গত রোববার ও আজ (মঙ্গলবার) পরীক্ষা চলাকালীন আমি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম না। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমার অনুপস্থিতিতে ইউএনওর নির্দেশে আমার কক্ষের তালা ভাঙা হয়েছে। এ সময় একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ 

কেন্দ্রসচিব অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট শামীম রেজা উপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠানের একজন দপ্তরিকে দিয়ে তালাটি ভেঙে ফেলেন। পরে ওই কক্ষে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তাঁরা বেরিয়ে যান। এ সময় আমিসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষক–কর্মচারী উপস্থিত ছিলাম। 

জানতে চাইলে মান্দার ইউএনও লায়লা আঞ্জুমান বানু এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম রেজা সজিব বলেন, ‘পরীক্ষা পরিচালনার কাজে ব্যবহারের জন্য অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভাঙা হয়েছে। এতে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা বলতে পারছি না।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.014153957366943