খুলনার পাইকগাছা ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ১৫টি অভিযোগের মধ্যে ৫টি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। জনবল কাঠামো-২০১৮ মোতাবেক এ অধ্যক্ষের বেতন-ভাতা কেন স্থগিত করা হবে না, এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেন কলেজটির সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক-প্রতিনিধি সেখ রুহুল কুদ্দুস ও সহকারী অধ্যাপক সুধাংশু কুমার মন্ডল।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মাউশি অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হারুনর রশিদ এবং উপ-পরিচালক (কলেজ) এস কে মোস্তাফিজুর রহমান তদন্ত সম্পন্ন করেন। গত ২৩ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে তদন্তে ১৫টি অভিযোগের মধ্যে সত্য-মিথ্যা যাচাই বাছাই করে ৫টি অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলা হয়।
দৈনিক শিক্ষার হাতে থাকা কারণ দর্শানোর নোটিশে দেখা যায়, বৃত্তি প্রদানের অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি, অনুদান দেখিয়ে দাতা সদস্য করা, নিয়মিত হাজিরা খাতায় অধ্যক্ষের স্বাক্ষর না থাকা, প্রতিষ্ঠানে বই ক্রয়ে অনিয়ম, জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্রীর অনুদান ও পোশাক বাবদ অর্থ না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিজের কাছে রেখে দেয়াসহ আর্থিক বিধি-পরিপন্থি এসব অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিয়ে অধ্যক্ষকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘জনবল কাঠামো-২০১৮ এর ১৮.১ (খ) ধারা মোতাবেক কেন আপনার বেতন ভাতা স্থগিত করা হবে না তার জবাব ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হলো।’